ব্যক্তিগত করের ভিত্তি
বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কর তার আবাসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। এই আবাসিক অবস্থা প্রতি কর বছরে আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়, যা বাংলাদেশে তার শারীরিক উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশের কর আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির আবাসিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তার করের আওতা ভিন্ন হয়:
- আবাসিক ব্যক্তির জন্য: বাংলাদেশে অর্জিত, উদ্ভূত, বা প্রাপ্ত সব আয় করযোগ্য। একই বছরে বিদেশে অর্জিত বা প্রাপ্ত আয়ও করের আওতায় আসে।
- অনাবাসিক ব্যক্তির জন্য: শুধুমাত্র বাংলাদেশে অর্জিত, উদ্ভূত, বা প্রাপ্ত আয় করযোগ্য।
ব্যক্তিগত আয়কর হার
আবাসিক ব্যক্তি বা অনাবাসিক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য (২০২৪-২৫ অর্থবছর)
| মোট আয় (টাকা) | কর হার (%) |
|---|---|
| প্রথম ৩,৫০,০০০ | 0% |
| পরবর্তী ১,০০,০০০ | 5% |
| পরবর্তী ৪,০০,০০০ | 10% |
| পরবর্তী ৫,০০,০০০ | 15% |
| পরবর্তী ৫,০০,০০০ | 20% |
| পরবর্তী ২০,০০,০০০ | 25% |
| অবশিষ্ট আয়ের উপর | 30% |
- নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য করমুক্ত সীমা ৪,০০,০০০ টাকা।
- প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য করমুক্ত সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা।
- যুদ্ধাহত গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত সীমা ৫,০০,০০০ টাকা।
- তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য করমুক্ত সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা বৈধ অভিভাবকের জন্য করমুক্ত সীমা অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা বৃদ্ধি পাবে।
সর্বনিম্ন কর ব্যবস্থা
যদি আপনার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে, তাহলে সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা কর দিতে হবে। তবে নতুন করদাতাদের জন্য এই সর্বনিম্ন করের পরিমাণ ১,০০০ টাকা।
যাদের মোট প্রাপ্তি ৪ কোটি টাকার বেশি, তাদের জন্য নিয়মিত কর, উৎসে কর এবং মোট প্রাপ্তির ওপর ০.২৫% করের মধ্যে যেটি বেশি হবে, সেটিই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হবে।
সহজে আয়কর গণনা করুন!
আলোচিত আয়কর গণনা পদ্ধতিটি একটি সাধারণ উদাহরণ মাত্র। নিজের জন্য এটি যাচাই করতে, নিচের স্প্রেডশীটটি OR সাইট ব্যবহার করুন। শুধু একটি কপি তৈরি করে আপনার আয়ের বিবরণ লিখুন এবং দেখুন আপনার কর কত হয়।